বাগেরহাট-৪ ( মোরেলগঞ্জ- শরণখোলা) আসনে দুঃসময়ের নেতা কর্মীদের পাশে থাকা জেলা বিএনপির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শিপনকেই চান নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন যেসব নেতারা দলের দুঃসময়েও নেতাকর্মদের খোঁজখবর নিয়েছে আর্থিক সহায়তা করেছে দলের সুসময়ে তাদেরই প্রয়োজন ।
যখন আওয়ামী দুঃশাসন নির্যাতন-নিপীড়নে নেতাকর্মীরা দিশেহারা ছিলেন তখন বিএনপি নেতা কাজী শিফন তাদের আগে দেখেছিলেন । হামলা-মামলা শিকার নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতেন। রমজান ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে নেতাকর্মীদের সাধ্যমত উপহার সামগ্রী ও গরিব মানুষদের সহায়তা করতেন।
অথছ গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগের পর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন ফেসবুক নেতা তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন অবস্থায় চালাচ্ছে বলে দাবী করেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
আর এই অপপ্রচারে সহযোগিতা করছে অন্য একটি রাজনৈতিক দল। এই আসনে বিএনপি দুর্বল প্রার্থী দিলে তারা এর সুফল ভোগ করবে এমনটাই মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা অভিযোগ বিএনপি নেতাদের।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদস্যসচিব আব্দুল জব্বার মোল্লা বলেন, কাজী খায়রুজ্জামান শিপন শুধু আমাদের কাছের মানুষ না, তিনি প্রতিটি গ্রামের বিএনপির সমর্থকদের আস্থার প্রতীক।
পৌর বিএনপির সভাপতি শিকদার ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা মনে করি সৈরাচার শেখ হাসিনার দোষররাই চাচ্ছেন কাজী খায়রুজ্জামান শিপন যাতে এই আসনের প্রার্থী হতে না পারেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক বাবুল বলেন, এই আসনে বিএনপি নেতাককর্মীদের হৃদয়ে অনস্থান করেন কাজী খায়রুজ্জামান শিপন। তার বিকল্প আমরা ভাবতে পারি না। নেতা-কর্মীদের অসময়েই যিনি পাশে ছিলেন তাকে ছাড়া কাকে চাইবে এমনটা প্রশ্ন করেন এই নেতা।
শরণখোলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত বলেন, কাজী খায়রুজ্জামান শিপন শরণখোলা বিএনপির নির্যাযিত নেতা-কর্মীদের পাশে সব সময় সহযোগীতা দিয়েছে। বিএনপির দু:সময়ে কোন নেতাকেই আমরা পাইনি। আর এখন হাটে, মাঠে, ঘাটে. ফেসবুকে নেতাদের অভাব নেই বলে আক্ষেপ করেন উপকূলীয় উপজেলা শরনখোলা বিএনপির এই নেতা।