০৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নামের পূর্বে "ডা." পদবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে

বাগেরহাটে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের মানববন্ধন

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের পূর্বে “ডা.” পদবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বাগেরহাটে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর)  সকালে বাগেরহাট হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে  মানববন্ধনে  শিক্ষক, চিকিৎসক, ডিএইচএমএস ডিগ্রিধারী এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

বাগেরহাট হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও  ডিএইচএমএস ডক্টরস এসোসিয়েশেনের সভাপতি ডাঃ এইচ এম একরাম আলী হাওলাদারের এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যন্যদের মধ্যে  আরও বক্তব্য দেন, ডাঃ   খন্দকার আব্দুস সালাম, ডাঃ এম. আক্তারুজ্জামান, ডাঃ  আব্দুল লতিফ, ডাঃ ফরিদ উদ্দিন, ডাঃ  পার্থ প্রতীম পাল, ডাঃ আশোক কুমার দেবনাথ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সালের অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে ২০২৩ সালে জাতীয় সংসদে “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন” পাসের মাধ্যমে এ অধিকার আরও সুসংহত হয়। অথচ সেই আইনকে অমান্য করে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি জারি করা হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। সর্বশেষ গত ১০ আগস্ট স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে অনুরূপ চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা।

তারা আরও বলেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩” এর অধীন নিবন্ধিত এবং এর তদারকি করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল। অন্যদিকে এমবিবিএস ও বিডিএস চিকিৎসকরা পরিচালিত হন বিএমডিসি আইন-২০১০ অনুযায়ী।

২০২৩ সালের আইনের ২(১৩) উপধারায় বলা আছে, “হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক অর্থ এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত কোনো হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। একইভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ১২ ধারায়ও চিকিৎসক হিসেবে এমবিবিএস, বিডিএস, নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।