বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বারইখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য নাজমুল হাসান রানার বড় ভাই গ্রীস প্রবাসী, আওয়ামীলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ফুসে উঠেছে।
তারা বলছেন, প্রবাসী জাহিদুল ইসলাম আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত, গত বছরের ৫ ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরে রাতারাতি খোলস পাল্টে সমাজসেবক সাজার চেষ্টা করছেন। তার ভাই যুবলীগ নেতা রানা ৫ ই আগস্টের পর পলাতক রয়েছেন।
ফ্যাসিস্ট সরকারে দোসর যুবলীগ নেতা রানাকে গ্রামে ফিরিয়ে আনতে গত ১৬ মে শুক্রবার নিজ এলাকায় একটি নতুন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যহ্ণ ভোজের আমন্ত্রণ আয়োজন করেন।
এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃস্টি হয়, তারা আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসর জাহিদুল ইসলামকে এলাকায় প্রবেশে বাধা দিতে ওই এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বিষয়টি জাহিদ জানতে পেরে ওই নেতাদের নিয়ে ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। এসময় তার গ্রামের বাড়িতে ওই নেতাদের জন্য রাজকীয় আয়োজনের খাবার রানা মেম্বারের অনুসারীরা নিজেরাই ফেলে দিয়ে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নানা কল্প কাহিনী করছে।

বারইখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো: গোলাম রসুল বাবুল অভিযোগ করে বলেন, প্রবাসী জাহিদুল ইসলাম ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য বদিউজ্জামান সোহাগ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ সভাপতি লিয়াকত আলী খান ,ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সহ উপজেলা আওয়ামীলীগকে গণসংবর্ধনা ও ক্রেস্ট উপহার দেন । জাহিদুল ইসলাম স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে ঢাকায় ফিরে মোরেলগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা,বানোয়াট তথ্য প্রচার করেন।
তিনি আরো বলেন, গ্রীস প্রবাসী জাহিদুল ইসলাম ৫ই আগস্টের পরে তার ফেসবুক পেইজ থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে তার সকল ফটোসেশান মুছে ফেলেন। সে বিগত অবৈধ সরকারের একজন বড় সুবিধাভোগী।